Best Bangla Typography: জীবন গল্প | জীবনের কিছু মূহুর্ত
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা শেয়ার করব। আমি যে এ পর্যন্ত জীবিত আছি। সেটি আল্লাহর অশেষ দয়া ছাড়া কিছুই না। অন্যথায়, হয়তো বা আমি পৃথিবীতে থাকতাম না। আজকে যেহেতু আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করব। সে উদ্দেশ্যে “জীবন গল্প” টাইপোগ্রাফি ডিজাইন করেছি। আশা করি, টাইপোগ্রাফিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
Best Bangla Typography: জীবন গল্প |
ডিজাইন: জীবন গল্প
ধরণ: বাংলা টাইপোগ্রাফি
ব্যবহৃত ফন্ট: সুহৃদ বর্ণবিলাস
ডিজাইনার: মু্স্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম
ঘটনাটি সে সময়ের, যখন আমার বয়স তখন দেড় বা দুই বছর। আমার বড় ভাই আর আপু তখন কে.জি. স্কুলে পড়ে। আমি যেহেতু ছোট তাই আম্মু আমাকে সাথে নিয়ে স্কুলে নিয়ে যেত। ক্লাস চলাকালে আম্মু স্কুলেই বসে থাকত। স্কুল থেকে অভিভাবকদের বসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা ছিল। সেখানে গোল করে বসে অভিভাবকেরা গল্প-গুজবে সময় পাড় করত। মূল ঘটনায় ফিরে আসি। আম্মু অন্যান্য মহিলাদের সাথে গল্প গুজবে ব্যস্ত। ভাইয়া আর আপু ক্লাসে। আমি আম্মুর কোল থেকে নেমে আমি সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে স্কুলের ছাদে উঠি এবং ছাদের কোনায় বসে বাইরের দিকে পা বের করে শূন্যে পা দোলাতে থাকি। যেহেতু, আমি ছোট। তাই, এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে ধারণা ছিল না। ঘটনাটি দূর থেকে একজন পুলিশ দেখে দৌড়ে আসেন এবং চিৎকার করে করতে থাকেন: ছাদের কোনায় বসে একটি বাচ্চা বাহিরের দিকে পা দোলাচ্ছে। এটা শুনে আম্মু দেখে, আমি আশে-পাশে কোথাও নেই। তখন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দ্রুত আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। আল্লাহ না করুক! যদি সেদিন সামনের দিকে অগ্রসর হতাম। তাহলে, জীবনে যাত্রা হয়তো সেখানে সমাপ্ত হয়ে যেত।
আরেকটি ঘটনা বলি, তখন আমার বয়স ৬-৭ বছর হবে। সকাল বেলায় আমি হোটেল থেকে রুটি আনতে যাই। হোটেলটি ছিল আমাদের বাসার বিপরীতে রাস্তার অপর পাশে। যেহেতু, সকাল বেলা রাস্তা ফাঁকা থাকে সে কারণে, রাস্তায় চলন্ত গাড়ি আছে কি না সেটা লক্ষ্য না করেই রুটি নিয়ে এই দৌড়ে রাস্তা পাড় হই। এ দিকে ফুল স্পিডে একটি পুলিশের গাড়ি আমার দিকে ধেয়ে আসে। হঠাৎ, রাস্তায় ছোট বাচ্চা দেখে ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করেন। ব্রেক করার পরও স্লীপ কেটে গাড়ি আমার একে বারে কাছা-কাছি চলে আসে। সেদিন অল্প একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন