Bangla Typography Design: জীবন যেখানে যেমন - Tips Tune

নতুন আরেকটি বাংলা টাইপোগ্রাফি “জীবন যেখানে যেমন” নিয়ে হাজির হলাম। টাইপোগ্রাফিটি পূর্বেও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু, আগের আর্টিকেলটি কোনো এক কারণবশত সরিয়ে নিয়েছি। আজকে আমি আমার বিক্ষিপ্ত কিছু অভিব্যক্ত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। হতে পারে, নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা, বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা বা শিক্ষনীয় উপদেশ। আর, এই উদ্দেশ্যেই টাইপোগ্রাফিটি ডিজাইন করা। আশা করি, আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

Bangla Typography Design: জীবন যেখানে যেমন - Tips Tune. bangla stylish font
Bangla Typography Design - জীবন যেখানে যেমন

     ডিজাইন: জীবন
     ধরন: বাংলা টাইপোগ্রাফি
     ডিজাইনার: মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম

১/ জীবন একই ধারার উপর অতিবাহিত হয় না। জীবনের ধারা পরিবর্তন হয়। আশে পাশে থাকা লোকগুলোর মাঝে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আপনি হয়তো এমন অনেক লোক পাবেন। যারা ১০-১৫ বছর আগে একেবারেই নিঃস্ব ছিল। সামান্য আয় রোজগার করার মত অবস্থা তাদের ছিল না। কিন্তু, এখন অনেক টাকার মালিক বনে গেছেন। আবার এমন অনেক লোকও আছে। যারা ধনী থেকে অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে একেবারেই নিঃস্বতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং, যুগে যুগে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে থাকে। আজকে যাকে গরিব আপনি অবহেলা করছেন। তাকে কিছুদিন পর হয়তো আপনার থেকেও ধনী হতে পারে।

২/ কেউ একজন বলেছিল: “ কলেজ কাঁপানো ছাত্রী মাতাল স্বামীর কাছে অবহেলার পাত্রী। ” কথাটির মর্ম তখন কিছুটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। ভাগ্য এমনই হয়ে থাকে। কার ভাগ্যে কি লেখা আছে। এটা একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা ছাড়া কেউ বলতে পারেন না। বাহ্যিক সৌন্দর্য দ্বারা টাকা-পয়সা অর্থকড়ি উপার্জন  করা গেলেও ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব না।

৩/ বিভিন্ন নায়ক, নায়িকা, মডেলের জীবনের দিকে লক্ষ করুন। বাহ্যিক ভাবে দেখে তাদেরকে সুখী মনে হতে পারে। কিন্তু, আসলেই তারা কেউ সুখী না। তারা এতটাই অসুখী যে, প্রায়ই বিবাহ কলহ শুনতে পাওয়া যায়। তারা আপনাকে প্রেম শেখাবে। অথচ, তারা নিজেরাই প্রেম মানটা বুঝে না।

৪/ আমাদের দেশের নারীরা যখন কোথাও বেড়াতে যায়। তখন সুন্দর করে সেজে গুঁজে বের হয়। অর্থাৎ, পরপুরুষকে নিজের সৌন্দর্য দেখাতে পছন্দ করে। কিন্তু, নিজের স্বামীর ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি উল্টো। অথচ, উচিত ছিল শুধু মাত্র স্বামীর জন্যই সাজবে। তার সকল সৌন্দর্য কেবল স্বামীই উপভোগ করবে। ফলে, পরস্পরে ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পেত। যেহেতু, বিষয়টি উল্টো হয়ে গেছে। তাই, এখন বৈবাহিক জীবনে তেমন ভালোবাসা দেখা যায় না।