বাংলা ক্যালিগ্রাফি চর্চা এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানুন | Learn the history of calligraphy
ক্যালিগ্রাফি নতুন কোন শিল্প নয়। যুগ যুগ ধরে এর প্রচলন চলে আসছে। শুধু বাংলা নয়, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় আরবি-ফার্সি ইংরেজি ক্যালিগ্রাফির প্রচলন ও বহু পুরনো। কোন ছবির উপর ক্যালিগ্রাফি ডিজাইনের মাধ্যমে ছবিটির ভিতরকার কোন রহস্য বা ভেদ উন্মোচন করা যায়। ছবিটিকে করে তোলা যায় প্রাণবন্ত। ক্যালিগ্রাফি ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। জেনে অবাক হবেন, বহু অমুসলিম আরবি ক্যালিগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এটা ক্যালিগ্রাফির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ক্যালিগ্রাফির প্রতি মানুষের আগ্রহকে বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রাচীন যুগে ক্যালিগ্রাফি চর্চা:
ইতিহাসবেত্তাদের মতে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে সর্বপ্রথম ক্যালিগ্রাফির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এটি মোটেই অবহেলিত নয়। বরং যত দিন যাচ্ছে মানুষের প্রতি ঝুঁকছে। প্রাচীর রাষ্ট্রীয় ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্যালিগ্রাফির উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে বাঁশের কলম দিয়ে চামড়া বা কাগজের উপর ক্যালিগ্রাফি ডিজাইন করা হতো কোনো সহজ কাজ ছিল না। ডিজাইনারদেরকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হত। ভুল হলে সংশোধনের বিকল্প পদ্ধতি ছিল না।
বর্তমান যুগে ক্যালিগ্রাফি চর্চা:
বর্তমানে ক্যালিগ্রাফি ডিজাইনের কাজটি তুলনামূলক সহজ হয়েছে। এটিকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বইয়ের প্রচ্ছদ, লোগো, টি-শার্ট সহ নানা কাজে ক্যালিগ্রাফির উপস্থিতি পাওয়া যায়। টাইপোগ্রাফি মূলত ক্যালিগ্রাফির শাখা। এখন শুধু হাতে নয়, বরং কম্পিউটার এবং মোবাইলেও ক্যালিগ্রাফি ডিজাইন করা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন