bangla typography Design: নৌকা | বাংলা টাইপোগ্রাফি
নতুন আরেকটি বাংলা টাইপোগ্রাফি ডিজাইন নিয়ে হাজির হলাম। আমি আমার ব্লগে টাইপোগ্রাফির পাশা পাশি জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা শেয়ার করি। আজকেও তেমন একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি ২০০৯ এর। ছোট ঈদের ছুুটিতে দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এমনিতে দাদা বাড়িতে তেমন একটা যাওয়া হয় না। আমাদের দাদা বাড়ি ভাটি অঞ্চলে। আমরা যে সময়ে দাদা বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে সময় নদীতে পানি এসে গেছে। ভাটি অঞ্চলে ৬ মাস মাঠ-ঘাট সবকিছু পানির নিচে থাকে। যেহেতু পানির মৌসুম। তাই, বাহিরে ঘোরাঘুরির সুযোগ নেই। তবে, নৌকায় চড়ে এদিক সেদিক যাওয়া যায়। আমি আমার কাকার সাথে নৌকায় করে এদিক সেদিক ঘুরতাম। কাকা নৌকা চালাতো। আমি বসে থাকতাম। আমার ধারণা ছিল: বৈঠা দিয়ে নৌকা চালানো সহজ বিষয়। তাই আমার ভেতর নৌকা চালানোর কৌতূহল জন্মালো।
bangla typography Design: নৌকা |
একদিনের ঘটনা, ঘাটে গিয়ে দেখি নৌকা বাঁধা। আশে-পাশে লোকজন নেই। সুযোগ হাত ছাড়া করলে চলবে না। আমি বৈঠা হাতে নিলাম। আস্তে আস্তে নৌকা চলতে শুরু করল। চলতে চলতে হঠাৎ নৌকা নদীর মাঝখানে এসে পড়ল। সমস্যাটা এখান থেকেই শুরু। আমি নৌকা ঘাটের দিকে ভিড়াতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু, আমি শত চেষ্টা সত্ত্বেও নৌকা ঘাটের দিকে নিয়ে ভিড়ছে না। নৌকা চতুর্দিকে গোল হয়ে ঘুরছে। আমি সাঁতার জানতাম না। তাই, মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম। নৌকা ডুবে গেলে জীবন এখানেই সমাপ্ত। এক দিকে ভরা মৌসুম, অপর দিকে বড় বড় ঘেউ ধেয়ে আসছে। অবশেষে কোনো উপায় না দেখে হাতে বৈঠা নিয়ে নৌকায় বসে রইলাম। অনেকক্ষণ সময় এভাবেই পাড় হল। ইতিমধ্যে ঘটনাটি দূর থেকে দূর সম্পর্কের এক কাকা দেখে ফেলে। আমাকে এই হালতে দেখে তিনি তাড়া তাড়ি সবাইকে খবর দেন। পরবর্তীতে অন্য এক নৌকা নিয়ে সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করা হয়।
পরিশেষে, জীবনে কোনো কাজে দক্ষতা অর্জন ব্যতীত হাত না বাড়ানোই ভালো। হয়তো বা বিপদ ধনিয়ে আসতে পারে।
ডিজাইন: নৌকা
ধরন: বাংলা টাইপোগ্রাফি
ডিজাইনার: মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন