Bangla font design advanced course | বাংলা ফন্ট | Tips Tune
বাংলা ফন্ট ডিজাইন অ্যাডভান্স কোর্সে আপনাকে স্বাগতম। এই কোর্সে বাংলা ফন্ট ডিজাইনের খুঁটি-নাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাশা-পাশি, বাংলা টাইপফেস ডিজাইনের সময় যে সকল ভুলগুলো প্রাথমিক অবস্থায় ডিজাইনাররা করে থাকে। সে সকল বিষয়ে আলোচনা করব। ইতি পূর্বে বাংলা ডিজাইন নিয়ে আমার একটি মাস্টার কোর্স রয়েছে। যেখানে বাংলা ফন্টের বেসিক ডিজাইনগুলো দেখানো হয়েছে। কোর্সটি না দেখে থাকলে এখানে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন। এই কোর্সে আমি আপনাদের সাথে ফন্ট ডিজাইনের ঐ সকল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেগুলো মেনটেইন করাটা অতীব জরুরি। যেগুলো মেনটেইন না করলে আপনার ডিজাইন ফন্টটি দেখতে অসুন্দর এবং অসামঞ্জস্য লাগবে।
Bangla font design advanced course |
টাইপফেস ডিজাইন এবং ফন্ট ডেভেলপ করার জন্য Fontcreator, Fontlab ব্যবহৃত হয়। তবে, Adobe Illustrator, Inkscape বা এ জাতীয় সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে সাধারণত টাইপফেস তৈরি করা হয়। বলে রাখা ভালো, অধিকাংশ বাংলা ফন্ট Adobe Illustrator এ ডিজাইন করা হয়েছে। সরাসরি Fontlab এ খুব কমই ফন্ট ডিজাইন করা হয়। সুতরাং, আপনাকে ডিজাইনের জন্য Illustrator ব্যবহারের পরামর্শ থাকবে। তাছাড়া, Illustrator এ ডিজাইন করাটা সহজ। এটা সত্য যে, বাংলা ফন্ট ডিজাইন নিয়ে আদও পরিপূর্ণ কোন কোর্স চালু হয় নাই। এ জন্যই নতুন ডিজাইনারেদের থেকে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। টাইপফেস ডিজাইনের জন্য প্রথমেই আপনাকে বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে হতে। এর জন্য আপনি বাজার আদর্শলিপি বইটা কিনে নিতে পারেন। অথবা কালপুরুষ, আদর্শলিপি বা এ জাতীয় ফন্ট দেখে দেখে চর্চা করতে পারেন। বর্ণমালার একটার সাথে আরেকটার কি পার্থক্য, তাদের পরিবর্তনগুলো কেমন, কোন মাত্রালতা কতটুকু দেওয়া, খুঁটিনাটি বিয়ষ খুব ভালো করে চর্চা করতে নিতে পারেন।
প্রথমত আপনাকে যে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে, সেটি হল: প্রতিটি বর্ণের মাপ যেন একই হয়। যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ডিজাইনের সময় আপনি বর্ণমালার মাপের প্রতি লক্ষ রাখুন। যেন প্রতিটি বর্ণের মাপ সমান হয়। বর্ণমালার মাপ ঠিক রাখার জন্য রুল ব্যবহার করতে পারেন। নিচে দেওয়া চিত্রটি ভালো করে লক্ষ করুন। চিত্রে স, য, দ, খ বর্ণগুলোর মাপ এই দেখানো হয়েছে।
টাইপফেস ডিজাইনের সময় কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এতে আপনার ডিজাইন করা সহজ হয়ে যাবে। যেমন: ব, হ, ত, ও, এ, য, ন,ড, ঢ এই বর্ণগুলো ডিজাইন করলে বাকি বর্ণগুলো ডিজাইন করাটা সহজ হয়ে যায়। নিচে দেওয়া ছকে দেখানো হল। কিভাবে উপরোক্ত বর্ণগুলো দিয়ে বাকি বর্ণগুলো ডিজাইন করা যায়।
ড= উ, ঊ ঙ, জ, ড, ড়, ভ, ও , ঔ
ব= ঋ, ক, ঝ, ব, র, ৰ ৱ
য= য, য়, ফ, খ, ঘ, ষ, থ
ত = অ, আ, ত
এ= এ, ঐ, ঞ
ন= ন, ণ, ম
হ= ই, ঈ, হ
ঢ= ট, ঢ, ঢ়, চ, ছ
গ= গ, প
উপরোক্ত ৯ টি বর্ণ ডিজাইন করতে পারলে ৪০ টি বর্ণ অতি সহজেই ডিজাইন করা যায়। বাকি, স, ল, শ, ৎ, ং, ঃ, ঁ ডিজাইন করলেই বর্ণমালা ডিজাইন কমপ্লিট।
- মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম
তারিখ: ১৬/৬/২০২১ ইং
সর্বশেষ সংশোধন: ২৫/০৬/২০২১ ইং
এক নজরে পুরো কোর্সের লিংক:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন