কপি বাংলা ফন্টকে না বলুন! - Tips Tune - Latest bangla typography design
প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব মেধা শক্তি এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো কাজের নতুনত্ব আনতে পারে। নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। ঠিক তেমনি টাইপফেস ডিজাইনগণ অন্যের ডিজাইন কনসেপ্ট কপি না করে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নতুন ধাঁচের ফন্ট তৈরি করতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রচলিত অনেক রয়েছে। যেগুলো অন্যের ডিজাইনকৃত টাইপোগ্রাফি কপি করে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মূল ফন্টগুলো লোক চক্ষুর আড়ালে থাকে। সেখানে কপি ফন্টগুলো গুলো থাকে সুনামের শীর্ষে। এযাবৎকাল পর্যন্ত বহু ফন্ট তীব্র সমালোচনার কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার নিষিদ্ধ করা ফন্টগুলোকে মডিফাই করেও নতুন ফন্ট তৈরি করা হয়েছে।
ডিজাইন: কপি ফন্টকে না বলুন
ধরণ: বাংলা টাইপোগ্রাফি
ব্যবহৃত ফন্ট: শামীম চাটমোহর
এমনও ডিজাইনার রয়েছে যে অন্যের ডিজাইনকৃত ফন্টের উপর ভিত্তি করে ব্রাশ স্টাইল পরিবর্তন করে নতুন ফন্ট তৈরি করে। কারও ডিজাইন কনসেপ্ট কপি করে ফন্ট তৈরি করতে চাইলে মূল ডিজাইনার থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনেকেই মনে হয় বিষয়টি একেবারেই জানে না।
দুঃখজনক বিষয়, জনগণের তিরস্কার এবং লাঞ্ছনা ভাগীদার কেবল যিনি কপি করে ফন্ট ডিজাইন করেছেন তাকেই হতে হয়। আর উৎসাহদাতারা* সহজেই পার পেয়ে যায়। শুনে অবাক হচ্ছেন!! আল্লাহর এমন বান্দা দুনিয়ায় আছে যে নিজে তেমন একটা ফন্ট ডিজাইন করে না ঠিকই। তবে অন্যদেরকে এ সকল অনৈতিক কাজে উৎসাহিত করে। ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অন্যের থেকে ডিজাইন কনসেপ্ট হাতিয়ে নেয়। দোষ কম-বেশি অনেকেরই রয়েছে। কেউ না জেনে-বুঝে অন্যের প্ররোচনায়* অপরাধে লিপ্ত হলে তার ওজর থাকতে পারে। আমাদের মূল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে, এসকল অনৈতিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করি।
পরিশেষে, নিজের সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকে যতটুকু পেরেছি লেখার চেষ্টা করেছি। ইঙ্গিতবহ কিছু শব্ধও উল্লেখ করেছি। হয়তো কথাগুলো অনেরেক ভালো নাও লাগতে পারে। হতে পারে, সে নিকটস্ত কেউ..............
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন