Most popular bengali typography design in 2021: রাস্তা - Tips Tune
আবারও জীবন গল্প সহ নতুন আরেকটি বাংলা টাইপোগ্রাফি ডিজাইন নিয়ে হাজির হলাম। টাইপোগ্রাফি জীবনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি করেছি। কার ভাগ্যে কি লেখা আছে! সেটা মহান আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত কেউ বলতে পারে না। ছোট বেলায় আমার জীবনে অনেক বড় বড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছি। যেমন: ছাদের কোনায় বসে বাইরের দিকে পা বের করে শূন্যে পা দোলানো। চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেওয়া। একবার তো মাইক্রোবাসের নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয়েছিলাম। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল আমার জীবনে। আজকে সেই ঘটনাটি শেয়ার করব।
ঘটনাটি ২০০৬ সালের। তখন বয়স সাড়ে ৫ বছর। সবে মাত্র ঈদ শেষ হল। নানু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। যেহেতু, আমাদের ঈদে নানাবাড়ি বেড়াতে যাইনি। তাই, ঈদের সালামি বকেয়া ছিল। বিকেলে নানু আমাকে সালামি দেন। সালামি নিয়ে মহা খুশিতে বের হয়ে দোকানে দিকে যাই। দোকানে যেতে হলে রাস্তা পাড় হতে হয়। রাস্তায় কোনো গাড়ি আছে কিনা, সেটা না দেখেই রাস্তা পাড় হতে যাই। এদিকে রাস্তায় চলন্ত একটি বাইকের সাথে আমার ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে নাক, মুখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে। উপস্থিত লোকজন আমাকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান।
মাগরিবের পর আব্বা আমাকে পরিচিত এক ডাক্তারের সাথে নিয়ে যান। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর আমার অবস্থা গুরুতর দেখে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আব্বা আমাকে অন্যত্র আরেক পরিচিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। বলে রাখা ভালো, এক্সিডেন্টের ফলে আমার মুখ প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মুখের মাড়ি ফেটে যায় এবং পায়ের হাটু থেকে চামড়া উঠে যায়। ডাক্তার আমার মাড়ি সেলাই করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আমার চিৎকার আর চেচা-মেচির কারনে করেন নি। সেই এক্সিডেন্টে আমার নাকের হাড্ডি ভেঙে যায়। এ জন্য আমার নাকের হাড্ডি একটু বাঁকা। তবে, ভালো করে কেউ খেয়াল না করতে বুঝা যায় না। এখনোও মনে আছে, পুরো হাটুর চামড়া চামড়া ছিলে গিয়েছিলে। সেখানে ইনজেকশন পুশ করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন