Bangla font piracy needs to be stopped! | Bangla Typography Design - Tips Tune

একটা কথা মনে রাখবেন: “শিল্পী বাঁচলে শিল্প বাঁচবে।” শিল্পীর সংকট যে কোনো শাস্ত্রের ইতি টেনে আনে। আমি আজকে দুঃখজনক কিছু বিষয় শেয়ার করব। যারা টাইপফেস ডিজাইন এবং ডেভেলপ করে থাকেন। তারাই জানেন,  আমাদের এর পিছনে কি পরিমাণ শ্রম দিতে হয়। কাজের ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করতে হয়। বিভিন্ন ইউনিক কনসেপ্ট তৈরি করতে হয়। একটা কথা মাথায় রাখবেন, সকল ফন্টই প্রিমিয়াম হয় না। বরং, সব থেকে ইউনিক কনসেপ্টে ডিজাইন করা ফন্টকেই প্রিমিয়াম করা হয়। এ জন্য শত শত ফন্ট তৈরি হলেও সবগুলোই প্রিমিয়াম করা হয় না। দেশের বৃহৎ ফাউন্ডিগুলোর দিকে তাকান। ইউনিক কনসেপ্টে ডিজাইন করা ফন্টগুলোকেই তারা প্রিমিয়াম করে থাকে। আর ইউনিক কনসেপ্ট বের করাটা মোটেও সহজ বিষয় নয়। বহু শ্রম, সময় ও মেধা খরচ করতে হয় এর পিছনে। 

Bangla font piracy needs to be stopped! See The best bangla typography, calligraphy, logo design

আমি আপনাদেরকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, প্রিমিয়াম পর্যায়ের ফন্ট ডিজাইন করাটা বেশ কষ্টকর। কিন্তু, ডিজাইনারগণ তার কাজের উপযুক্ত কোনো সম্মানী পাচ্ছেন না। তার জন্যতম কারণ হচ্ছে ফন্ট পাইরেসি। ফন্ট পাইরেসি ইদানীং অনেক বেড়ে গেছে। যারা এ সকল অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত, তারা এটাকে সম্মানজনক পেশা হিসেবে মনে করে। যখন একটা ফন্ট রিলিজের ২ দিনের ভেতর লিক হয়ে যায়। তখন হতাশাগ্রস্ত হওয়া ছাড়া আর কিছু বাকি থাকে না। দেশের বৃহৎ ফাউন্ড্রি গুলো কোনো না কোনো ভাবে আর্থিক ক্ষতি পূরণ করতে সক্ষম হন। তবে, যারা সবে মাত্র যাত্রা শুরু করেছে। তাদের কি হবে? এ সকল কারণে কাজের প্রতি অনীহা ভাব প্রকাশ পায়। ফলে, অনেকেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। 

যারা পাইরেসির সাথে জড়িত, তারা এটাকে মহৎ সেবা মনে করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই স্লোগান হল: “ধনীর সম্পদ গরিবকে বিলিয়ে দিতে এসেছি। ” বাংলা প্রিমিয়াম ফন্ট পাইরেসির পিছনে প্রধান দায়ী ছিল অবৈধ সাইটটি। এই সাইট থেকে ইন্সপায়ার হয়েই ফন্টের রাজা, রানি চৌদ্দগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। যারা ফন্ট পাইরেসির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অবশ্য এদের মধ্যে অনেকেই এই কাজ ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্য শত চেষ্টার পর রিপোর্ট করে সাইটটি জায়েদ ভাই remove  করতে সক্ষম হয়েছেন। শুনলাম, তারা নাকি আবার নতুন উদ্যমে ফিরে আসবে।

পরিশেষে, জাতির  এই দুর্দিনে ফন্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মাঝে একতা থাকাটা খুবই প্রয়োজন। সকলে ‍মিলে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ফন্ট পাইরেসি বন্ধের পাশা-পাশি বাংলা ফন্ট এবং ফন্ট ফাউন্ড্রিগুলোর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলে মনে করি।