বাংলা টাইপোগ্রাফি: পরীক্ষা সমাচার | Bangla Typography | My exam experience
শুরুতেই বলে রাখি, আমি তেমন কোন ভালো ছাত্র না। এখানে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে আমি আমার অভিব্যক্ত গুলো তুলে ধরব। জীবনে এক বার আমি ক্লাসে প্রথম হয়েছিলাম। সেটা ছিল নার্সারিতে থাকাকালে। এটা ভাবার কোনো দরকার নাই যে, হয়তো তখন অনেক ভালো ছাত্র ছিলাম। মূলত, সবার প্রথমে ভর্তি হওয়ার কারণে রুল নং ০১ ছিল। ইহা ব্যতীত স্কুল জীবনে ১ম, ২য়, ৩য় তো দূরের কথা। ১০ এর ভেতরেও খুবই কম ছিলাম। স্কুল লাইফে আমার সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যথার কারণ ছিল ইংরেজি। বলতে গেলে মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করে পরীক্ষা দিতে হতো। পরীক্ষায় বিভিন্ন শব্দার্থ লিখতে দিত। যেগুলোর অর্থ জানা ছিল না। সেগুলোর অর্থ ”চিনি ” লিখে আসতাম। এখন অবশ্য অনেক ভালোই ইংরেজি পারি। যেমন ধরেন, I am GPA5 😎 ..... এই নিরীহ, অবুঝ, অবোলা ছাত্রটিও একবার ক্লাসে ২য় হয়েছিল। কিন্তু, কিভাবে?
বাংলা টাইপোগ্রাফি: পরীক্ষা সমাচার |
আমার স্কুল জীবনে যতটা না রেজাল্ট খারাপ হত। তার থেকে বেশি মাদ্রাসা জীবনে। এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল:প্রচুর বানান ভূল। এই দেখেন না, ভুল বানানটাও ভুল অর্থাৎ, ভূল লিখেছি😉। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আছি। আমি তখন শরহে বেকায়া জামাতে পড়ি। ২য় মাসিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাদ্রাসা থেকে মাত্র ২ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যারা মাদ্রাসার ছাত্র। তারা বিষয়টি ভালো করে বুঝবে। মূলত ২ দিনে সকল কিতাব শেষ করা সম্ভব না। আমি মাকামাতে হারিরি সহ দুয়েকটি কিতাব ২ দিনে পড়ি। বাকি, ৪-৫ টা কিতাবে হাত পর্যন্ত দেইনি। মাসিক পরীক্ষার নিয়ম হল: যে যার সাথে ইচ্ছে, বসতে পারে। এতে সমস্যা নাই। আমি বেছে বেছে একজন ভালো ছাত্রের সাথে বসলাম। পরিক্ষা শুরু হল। কিছু প্রশ্নের উত্তম জানা আছে। আবার কিছু প্রশ্নের উত্তম জানা নেই। যেগুলো জানা নেই। সেগুলো পশের জনের থেকে দেখে দেখে খাতায় তুলি। এভাবে ৭ কিতাবের পরিক্ষা শেষ হল।
যাই হোক, কোনো মত পরীক্ষা শেষে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিছুদিন পর রেজাল্ট দেওয়ার পালা। আমি ধরেই নিয়েছিলাম, বরাবরের মত এবারও রুল হয়তো বা ২০ এর পরে থাকবে। আমি বসে বসে গল্পগুজব করছি। এমন সময় কে যেন এসে বলল: মুস্তফা সাঈদ ২য় হয়েছে। আমি তো পুরাই অবাক। আমার মত ছাত্র কিভাবে ২য় হয়। আমি যার সঙ্গে বসেলিাম। সে ক্লাসে ভালো ছাত্র থাকা সত্যেও পরীক্ষায় ১৩তম হয়েছিল। আলহামদু লিল্লাহ্! এরপর থেকে কোনো দিন আমার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়নি। এমনকি, এ বছর বার্ষিক পরীক্ষায় পুরোপুরি হাল ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু, রেজাল্ট দেখে আমি নিজেই অবাক। মূলত, সেই পরীক্ষার পর থেকে আমার ভাগ্য বদলে যায়।
পরিশেষে, আল্লাহ তাওফীক ছাড়া কিছুই হয় না। দোয়া করি, যেন জীবনের শেষ পরীক্ষাতেও সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হতে পারি। ওয়াসসালাম!
ডিজাইন: পরীক্ষা সমাচার
ধরন: বাংলা টাইপোগ্রাফি
ডিজাইনার: মুস্তফা সাইদ মুস্তাক্বীম
-মুস্তফা সাঈদ মুস্তাক্বীম
তারিখ: ০১/০৭/২০২১ ইং
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন